AI -> BI -> BJ -> CK -> DL

  • AI -> BI -> BJ -> CK -> DL

    কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) এখন গবেষণাগারের বাইরে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের আবিচ্ছেদ্য অংশ। মোবাইল অ্যাপ থেকে শুরু করে স্বয়ংক্রিয় গাড়ি কিংবা সৃজনশীল লেখা, ছবি আঁকা, সঙ্গীত ইত্যাদিতে AI ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে যাচ্ছে। সাথে আসছে নানা সংশয়। মানুষের কাজ কি মেশিন নিয়ে নেবে? না কি মানুষ ও মেশিন একসাথে নতুন এক ভবিষ্যৎ গড়ে তুলবে? “কী যুক্তি, প্রযুক্তি” ব্লগে এই প্রশ্নগুলোর সহজ, যুক্তিনির্ভর উত্তর খোঁজা হবে।


AI, BI, BJ, CK, DL বর্তমান সময়ের প্রযুক্তি শিল্পে এই পাঁচটি শব্দ দারূণ জনপ্রিয়। এরা যেন পাঁচ ইয়ারি দোস্ত। আপনারা AI-কে চিনেন, বাকি চারটা এক্রোনিম-এর সাথে আপনাদের পরিচয় নেই তাই হয়ত খটকা লাগতেই পারে।

তাহলে এরা জনপ্রিয় কিভাবে?

বইয়ের পাতা ওল্টাতে গিয়ে যেমন একটা গল্পের সুত্র ধরে আমাদের এগুতে হয়, হাল আমলের এই প্রযুক্তির দুনিয়াটাও ঠিক তেমনই। এখানেও এক গল্পের পিঠে আরেক গল্প জুড়ে তৈরি হচ্ছে ভবিষ্যতের মহাআখ্যান। মুশকিল হলো, এই জগতের সবকিছু রকেটের গতিতে ছুটছে। আজ যা নতুন, কাল তা-ই পুরোনো। এই দৌড়ের মাঝে একটু জিরিয়ে নিয়ে, গুছিয়ে, বসে, পুরো ব্যাপারটা বুঝে নেয়া তাই বড়ই দরকারি।

প্রযুক্তির দুনিয়ার পাঁচজন খেলোয়াড়, যারা আজকের আসর মাতিয়ে রেখেছে, ধরে নিন আদরই করে আমরা তাদের নাম দিয়েছি AI, BI, BJ, CK, আর DL। আমরা এই পাঁচ ইয়ারের একটা ধারাবাহিকতা খুঁজে বের করার চেষ্টা করব।

আমাদের গল্পের শুরু হবে AI (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) সাহেবকে দিয়ে। ইনি হলেন আজকের প্রযুক্তির আসরের মধ্যমণি। যন্ত্রকে বুদ্ধি দেওয়া, আপনার ফোনের ছোট্ট সহকারী থেকে শুরু করে বিশাল কারখানার স্বয়ংক্রিয় কাজকর্ম, সবকিছুতেই এঁর অবাধ আনাগোনা। জীবনটাকে আরও একটু ‘স্মার্ট’ করে তোলার সব কারিগরি ইনিই জোগান দিচ্ছেন।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) যদি হয় বুদ্ধি তৈরির কারখানা, তবে বিজনেস ইন্টেলিজেন্স (BI) হলো সেই বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্যের লাভ-লোকসান বোঝা ও ভবিষ্যৎ দেখা।

এরপরেই মঞ্চে আসবে BJ (ব্লকচেইন জাম্পস্টার্ট‌)। এ এক এমন জাদুর বই, যেখানে হিসেব কষার জন্য কোনো একক মহাজন বা মোড়ল নেই, ভরসাই যার মূলধন। লোকে যাকে এখন ক্রিপ্টোকারেন্সি, এনএফটি বা ডিফাই (DeFi) নামে চিনছে, তার পেছনের আসল খেলোয়াড় কিন্তু এই ব্লকচেন প্রযুক্তি। তথ্যের সুরক্ষায় ইনি এক নতুন বিপ্লব এনে হাজির করেছেন।

কিন্তু এতসব যখন হচ্ছে, তখন চোর-ডাকাতের ভয় থাকবে না? ডিজিটাল জগতে তাদেরই বা কম দাপট কিসে? তাই আমাদের চতুর্থ মঞ্জিল হবে CK (সাইবার সিকিউরিটি নলেজ)-এর দুর্গ। আমাদের ডিজিটাল জীবন, আমাদের ব্যক্তিগত তথ্য এই সবকিছুকে বাইরের হামলা থেকে বাঁচানোর অতন্দ্র প্রহরী ইনি। এঁর জ্ঞান ছাড়া আজকের দুনিয়ায় এক পা চলাও যে ঝুঁকিপূর্ণ!

আর সবশেষে আমরা উঁকি দেব DL (ডিপ লার্নিং)-এর অন্দরমহলে। AI যদি হয় মগজ, তবে ডিপ লার্নিং হলো তার মন বা আরও গভীরে থাকা প্রজ্ঞা। যন্ত্রের ছবি চেনা, মানুষের ভাষা বোঝা, এমনকি চালকবিহীন গাড়ি চালানোর মতো অসম্ভবকে সম্ভব করার পেছনের মূল কারিগর হলেন অনন্ত জলিল থুক্কু ডিপ লার্নিং মশাই।

আমাদের এই পরিক্রমায় আমরা দেখব, এই পাঁচ বন্ধু কেমন করে একে অপরের হাত ধরে এগিয়ে চলেছে। কেমন করে এরা একে অপরের পরিপূরক। চলুন, শুরু করা যাক সেই গল্প। আশা করি, এই ‘কী যুক্তি প্রযুক্তি’ ( #কী_যুক্তি_প্রযুক্তি ) আপনাদের ভালো লাগবে।

আগামী পর্বে আমরা বলবো AI-এর কথা।

#কী_যুক্তি_প্রযুক্তি #AI

মুহাম্মদ শামীমুজ্জামান

২৯শে আগস্ট ২০২৫

Leave a Comment